কক্সবাজারে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় শিশুদের টিকা খাইয়ে দিয়ে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যারেটরি উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন কেন্দ্রে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মুজিবুল হক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পু চ নু, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব রোকেয়া বেগম ও ডেপুটি সেক্রেটারী ফয়সাল শাহ।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক পিন্টু কান্তি ভট্টাচার্য, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা উচাপ্রু মার্মা, পৌর প্রিপ্যারেটরি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, পৌরসভার স্লাম উন্নয়ন কর্মকর্তা শামীম আকতার, সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সারোয়ার মাহবুব।
সিভিল সার্জন অফিসের দেয়া তথ্য মতে, ৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে ‘নীল’ রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়ানো হয় ‘লাল’ রঙের ক্যাপসুল।
ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের পরদিন জেলা সদর হাসপাতাল, কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়, মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র বা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেতে পারবে।
জেলার আট উপজেলায় ১৯৫২১ টি টিকাদান কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় ছিল ৪ লাখ ২০ হাজার ১৮১ শিশু। এ কর্মসুচিতে স্থায়ী ৯ টি, অস্থায়ী ১,৮৪০টি, ভ্রাম্যমান ২৭টি এবং অতিরিক্ত ৭৫টি কেন্দ্রে ২৩৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২১১ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল। তত্ত্বাবধায়ক ছিল ২১৯ জন।
উল্লেখ্য, জেলায় ৬ থেকে ১১মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৫৩ হাজার ১৬৩ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১৮জন।
2.44K
add a comment